মাদকসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ, হুমকীতে আওয়ামী রাজনীতি

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি মাদক ও গুরুতর অপরাধে জড়ায় তা মোটেও মেনে নেয়া যায় না। ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেতারা যেন যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় তার দাবী জানান এই বর্ষিয়ান নেতা।

সত্য সংবাদ ডেক্স: মানিকগঞ্জে মাদকসেবন ও ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা । বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী জড়িয়ে পড়েছেন এসব কাজে। এর মধ্যে চাঁদা বাজি, মাদকের কারবার, মাদক সেবন, ভমি দখল, অবৈধ ভাবে বালু মাটির ব্যবসা, ধর্ষন, নারী কেলেংকারীসহ নানা অপরাধ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে ভবিষ্যতে আওয়ামী রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন জেলার জ্যেষ্ঠ নেতারা।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-তৃণমূল সংগঠনের কমিটি গঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে। ফলে ছাত্রদের নিয়ে ইতিবাচক কর্মসূচির পরিবর্তে বেপরোয়া কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন একশ্রেণির নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে নাম মাত্র সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে ছাত্রলীগ। তবে অনেক সময় সাময়িক বহিষ্কারের মতো লঘু শাস্তি দিয়ে পরবর্তীকালে আবার স্বপদে বহাল করা হচ্ছে এবং পুনরায় গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত করা হচ্ছে অপরাধীদের। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে বিএনপি পরিবার থেকেও পদ দেওয়ার । যারা সবাই বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এতে করে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছেন নেতাকর্মীরা। আর তাদের এমন নেতিবাচক কর্মকান্ডের প্রভাব পড়ছে মূল দলের ভাবমূর্তিতেও।

নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একাধিক ছাত্রলীগ নেতার মাদক সেবনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ম্যধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এছাড়া একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি, ধর্ষন, নারী কেলেংকারির অভিযোগ যেন নিত্য দিনের।   ছাত্র সংগঠনের এমন দুর্বৃত্তপনার লাগাম টানার ক্ষেত্রে নির্বিকার সরকারি দলের নেতারা। এর ফলে অপকর্মে ছাত্রলীগের রীতিমত বেপরোয়া আচরণে যেন অসহায় প্রশাসন।

এ ব্যাপরে বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরেশী সুমন ও সাধারন সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেছেন, যদি কোন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাদকসহ যে কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে জেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারনা সহ নিয়মিত নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও সাবেক সাধারন সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, কিছু সংখ্যক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে নীতি আদর্শ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটা দু:খজনক। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে এমন কর্মকান্ড মেনে নেয়া কষ্টদায়ক।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী যদি মাদক ও গুরুতর অপরাধে জড়ায় তা মোটেও মেনে নেয়া যায় না। ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেতারা যেন যাচাই বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় তার দাবী জানান এই বর্ষিয়ান নেতা।

Scroll to Top