স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদরের তিন ইউনিয়ন) আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক এমপি পুত্র ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল। ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামা সাহাবুদ্দিন আহমেদ স্মার্ট, সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির মানিকগঞ্জ-২ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হরিরামপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি তার ২০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে তিনি যেসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন সেগুলো হলো, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখা। ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। নির্বাচনী এলাকায় বসবাস করা এবং বিদেশে বিলাসবহুল জীবনযাপন না করা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা। প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে হিসেবে পিতার জীবনদর্শন অনুসরণ করে নির্বাচনী এলকার ভালো মানুষ, ভালো ছাত্র এবং ভালো কাজকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা।
নিজে দুর্নীতি না করা এবং কাউকে করতে না দেওয়া। পদ্মার নির্মাণাধীন অস্থায়ী বাধকে সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীর মতো স্থায়ী বাধে রুপ দেওয়া।
ঢাকা-সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-ঝিটকা-হাটিপাড়া-পুটাইল-বালিরটেক রুটে মানসম্মত বাস সার্ভিস চালু করা। বারুন্ডী ঘাটে কালীগঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ তৈরীর উদ্দ্যোগ নেওয়া।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা। পদ্মার চর এবং প্রতিটি ইউনিয়নের গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়ষ্কদের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন করা, নিজেও নির্বাচনী এলকায় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা। পদ্মার চর বাসিন্দাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত ও নিরাপত্তা বিষয়ে সেবা প্রদানের পাশাপাশি পদ্মার চরে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করা যাতে চরের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়।
নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ”সবুজ মানিকগঞ্জ” গড়ে তোলা ও নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ, প্রাণপ্রকৃতি ও নদী সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ”শিক্ষার্থী বান্ধব” বাস সার্ভিস চালু করা ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা। কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করাসহ তাদের নিরাপদ ও বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা।
সকল পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের পরিবেশ নিরাপদ রাখা। হয়রানিমুক্ত ও দ্রুততম নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। বিদেশ গমনেচ্ছু নারী-পুরুষের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাজারগুলোকে কৃষিপণ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা। খেলার মাঠ দখলমুক্ত রাখা, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং, মাদক থেকে রক্ষা পেতে ক্রীড়াঙ্গন সচল রাখা।
একাধিক গণপাঠাগার এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনী গ্রন্থ প্রকাশের উদ্দ্যোগ নেওয়া। ব্রিজ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাটের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানবহিতৈষী ব্যক্তিবর্গের নামে নাম করণ করা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি জনগণের ভোটে বিজয়ী হলে কোন গনবিরোধী প্রকল্প এবং গনবিরোধী কাজ বাস্তবায়নে সুপারিশ করবো না।
সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল বলেন, তার ঈগল প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি সাধারণম জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের জন্য কাজ করবেন।