নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা-যমুনার পলির কারনে নাব্য সংকটে মাঝে মাঝে বন্ধ হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস। আবার কখনও কখনও নৌপথে আটকে যাচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি। নৌ চ্যানেল সচল রাখতে প্রতি বছর সরকারের খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা,আর মাঝ নদীতে আটকে পড়ছে যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ছে আটকে পড়া ফেরির যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
তাছাড়া নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরি বন্ধ থাকলে উভয় প্রান্তে পাড়ের অপেক্ষায় থাকে শত শত যানবাহন, ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও পরিবহম শ্রমিকরা।
পদ্মা সেতু চালুর আগে এটি ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জনসাধারনের রাজধানী ঢাকা ও এর আশ-পাশের জেলার প্রবেশদ্বার ও প্রধান নৌপথ। পদ্মা সেতু চালুর পর এই জেলাগুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। তবে এখনও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলার মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রাজধানী ঢাকা ও এর আশ-পাশের জেলায় যাতায়াত করে। এ নৌরুটে বর্তমানে ১৮ টি ফেরি রয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলছে ৩৪ টি লঞ্চ।
সধারণত নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এ নৌরুটে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে ঐ সময়ে ড্রেজিং করে নৌ চ্যানেল মাঝে মধ্যে ঠিক রাখা হয়। অনেক সময় নাব্য সংকটে ফেরি সার্ভিসে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সময়ে মাঝে মাঝে যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি মাঝ নদীতে আটকে যায়। দুর্ভোগে পড়ে আটকেপড়া যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। অনেক সময় নাব্য সংকটে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় উভয় পাড়ে আটকেপড়ে যাত্রী ও শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়ে আটকেপড়া যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যাবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ শাহ নেওয়াজ জানান, নাব্য সংকটে ফেরি সার্ভিস অনেক সময় বন্ধ রাখতে হয়। আবার অনেক সময় নাব্য সংকটে যাত্রী ও পরিবহন বোঝাই ফেরি মাঝ নদীতে আটকে পড়ে। এ সময় বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজ বা অন্য ফেরি দিয়ে আটকেপড়া ফেরি উদ্ধার করতে হয়। নৌ চ্যানেল ঠিক রাখার দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ’র।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোঃ হাসান আহম্মেদ জনান, নদীর পলি জমে নৌ চ্যানেল মাঝে মাঝে ভরাট হয়ে যায়। ফলে চ্যানেল সরু হয়ে যায় বা চ্যানেলের নাব্যতা হ্রাস পায়। এজন্য এই নৌরুটে মাঝে মাঝে ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায় বা মাঝ নদীতে ফেরি আটকে যায় । ড্রেজারের মাধ্যমে পলি অপসারন করে চ্যানেল ঠিক করা হয়। তাছাড়া প্রতি বছরই ড্রেজিং এর মাধ্যমে এই নৌ চ্যানেল ঠিক রাখা হয়।