সত্য সংবাদ ডেস্ক: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা থাকা সত্বেও আইন অমান্য করে জমির মালিকানা কাগজপত্র না থাকা সত্বেও পাকাঁ ঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে এক রিফিউজি পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি ভোক্তভোগী পরিবার। সমাধান করতে পারেনি স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাও।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের খেড়ুপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সম্প্রতি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই পরিবারে মাঝে বিরাজ করছে উত্তেজনা । যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এর সুষ্ঠু সমাধান চায় স্থানীয় সুশীল সমাজ।
জানা যায়, জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের খেড়ুপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসান আলীর স্ত্রী হাজেরা খাতুন। হাসান আলীর মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে খেড়ুপাড়া মৌজার আর এস ২৩২ নং দাগে ৪৫ শতাংশ জমির মালিক হন হাজেরা খাতুন ও তার ছেলে মেয়েরা। পরে নামজারী ও জমাভাগ করে সকল খাজনা পরিশোধ করে আসছে তারা। হঠাৎই রিফিউজি পরিবার হিসেবে পরিচিত স্থানীয় মৃত আব্দুল মান্নানের চার ছেলে আ: মতিন, আ: ওদুত, আ: মজিদ, : হামিদ তাদের জায়গায় জোড় করে পাকা ঘর নির্মান করছে। তাদের ঐ জমির কোন মালিকানা কাগজপত্র নেই। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে তারা এইভাবে জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন হাজেরা খাতুন।
ভোক্তভোগী হাজেরা খাতুন বলেন, তার দুই ছেলে পুলিশে চাকরি করে। তারা দুরে থাকায় তার দুই মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন তিনি। বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকায় অভিযুক্ত আ: হমিদের পরিবার নিয়মিত তাদের গালিগালাজ করে এবং মাঝে মধ্যেই হামলার চেষ্টা করে আসছে। তারা জোড় করে তাদের সম্পত্তি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মান করছে তারা। এ বিষয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি বলেও জানান হাজেরা খাতুন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ: মতিনের পরিবারের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের পরিবারে নারী সদস্যরা এ ঘটনায় কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি এবং তাদের জমির মালিকানা কাগজপত্র আদালতে জমা আছে বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে বাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বাচ্চু মিয়া বলেন, পরিষদে একটি অভিযোগ করেছিলো হাজেরা খাতুন। সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছিলো । কিন্তু উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় সমাধানে আর কোন সুযোগ হয়নি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন আদিত্য বলেন, এ ঘটনায় আদালত থেকে ১৪৪ ধারা মামলার নথি আসে। পরে ১৪৪ ধারা আইন মোতাবেক নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং কোন প্রকার শান্তি শৃংখলার অবনতি না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আসামীদের কারন দর্শানোর নোটিশ করায় তাদের বিরুদ্ধে আর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।