নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আলেয়া বেগমকে ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তিনটি টিআর প্রকল্প দেন এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়। সেই প্রকল্পের কাজ নামে মাত্র আংশিক কাজ করে বাকি টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশে মেম্বার আলেয়া বেগম আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
পিআইও অফিসের বরাতে জানা যায়, ছোট বৈন্যা স্বপ্নের মোড় হতে বিবিরামিস্ত্রির রাস্তা পর্যন্ত ৫০,০০০ টাকা, ছোট বৈন্যা ইউনুসের বাড়ি হতে ইটের সোলিং রাস্তা সংস্কার ৪৮,০০০ টাকা ও ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ধুলন্ডি গ্রামের খলিলের বাড়ি হতে মন্তোষের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ পায় বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ছোট বৈন্যা স্বপ্নের মোড় হতে বিবিরামিস্তির রাস্তা পর্যন্ত ৫০,০০০ টাকায় আনুমানিক গত ৪ মাস আগে মাত্র ৫ থেকে ৬ ট্রাক মাটি ফেলে কাজ সম্পুর্ন দেখানো হয়েছে। একই অবস্থা ধুলন্ডি গ্রামের খলিলের বাড়ি হতে মন্তোষের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজে। ছোট বৈন্যা ইউনুসের বাড়ি হতে ইটের সোলিং রাস্তা সংস্কারের ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে উক্ত মেম্বার নিজের বাড়ির আঙ্গিনা ভরাট করেন।
ধুলন্ডি গ্রামের ভজন চন্দ্র বাড়ই বলেন, ‘‘৬/৭ মাস আগে মেম্বার আমার বাড়ির সামনে ৬ ট্রাক মাটি ফালাইলো। কত কইরা কইলাম আর কয় গাড়ি মাটি লাগবো ফালাইলো না। এহন পানি জইমা রইছে যে জাগায়, ঠিক ঐ জায়গায় মাটি ফালাইছে। চেগারডাও আমরা গ্রামবাসী চান্দা উঠাইয়া দিছি’’।
বৈন্যা এলাকার একাধিক মানুষ জানান, ‘‘স্বপ্নের মোড়ে ৪/৫ মাস আগে রাতের আধারে ৫ থেকে ৬ ট্রাক মাটি ফেলে। গত ১/২ বছরে ইটের সোলিং এর কোনো কাজ হয়েছে আমরা দেখিনাই। তবে বেশ কিছুদিন আগে মেম্বারের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি ফালাইতে দেখছি’’।
এ বিষয়ে মহিলা ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম বলেন, আমি আমার কাজে কোনো দূর্নীতি করি নাই। সব প্রকল্পের কাজ ঠিক মতো হয়েছে।
ঘিওর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যদি সাইটে গিয়ে মাটি না পাই আবার নতুন করে মাটি ভরাট করা হবে। স্থানীয়রা যদি অভিযোগ করে প্রকল্পের সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তবে নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।