ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে আহত ছাত্রদল নেতা জুনায়েদ আল হাবিবের মৃত্যুর ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে তারা মহাসড়কে গিয়ে টায়ারে আগুন জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং একটি দোকানে ভাঙচুর শেষে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের আগুন নেভায়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ চলার পর দুপুর ১২টার দিকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারী। এরপর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নিহত জুনায়েদ নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার বটিয়ারা মোড়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করেন কয়েকজন। সে সময় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেকে) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর জুনায়েদের চাচা মো. শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। টানা ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার দুপুরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎকরা আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন। তবে ঢামেকে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির প্রস্তুতিকালে সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উত্তরা আনোয়ারা মডেল কলেজের ছাত্র সাইফুল ইসলাম ফয়সাল মুঠোফোনে বলেন, জুনায়েদ আল হাবিব নামে নরসিংদীতে কোনো সমন্বয়ক নেই। সে ছাত্রদলের দেখেই সমন্বয়ক দাবি করছে। এসব ব্যাপার নিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলমের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সৃষ্টি। পুরোপুরি পুলিশিং কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় এবং অফিসার ফোর্স কম থাকায় পুরোপুরি কাজ করা যাচ্ছেনা। সকালে কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করে তারা চলে গেছে। দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Scroll to Top