স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জে বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছেন শিক্ষক, ডাক্তার ও শিশুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
গত বুধবার (৮ই মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে (প্রেসক্লাবের বিপরীতে) অবস্থিত বনফুল এন্ড কোং এর স্যান্ডউইচ খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পরেন বলে অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীরা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বসুন্ধরা হাসপাতাল, মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েকজনকে ঢাকায়ও প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পোড়রা এলাকার রিসোর্স সেন্টারে পাঁচদিন ব্যাপী ‘সম্বন্বিত একিভূতিকরন শিক্ষা’ (সেন্ট) এর প্রশিক্ষন গ্রহণ করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রিশজন শিক্ষক। শেষের দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রত্যেকের জন্য বনফুল থেকে সেন্ডউইচ আনা হয়। সেটা খাবার পর থেকেই ত্রিশজন শিক্ষক, তাদের কয়েকজনের সন্তান, তিনজন প্রশিক্ষক ও স্টাফসহ সকলেই অসুস্থ হয়ে পরেন। ডায়রিয়া, বমি, জ্বর ও শরীর ব্যাথা বাড়তে থাকলে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। একইদিন কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ডাক্তার ও একটি ওষুধ কোম্পানির ষোলোজন স্টাফ বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের ৮৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, “পোড়রা এলাকায় আমাদের পাঁচদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ হয়। শেষের দিন সকলে মিলে স্যান্ডউইচ খাই। সেটা খাবার পর-পরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।” একই বিদ্যালয়ের (৮৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) সহকারী শিক্ষিকা মেহেনাজ তানিয়া মুনমুন বলেন, “প্রশিক্ষণ শেষে বনফুলের স্যান্ডউইচ দেওয়া হয় সেটা খাবার পর থেকেই বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়েছে।”
মত্ত সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাউফুন নাহার বলেন, “সেন্ট প্রশিক্ষণের শেষের দিনে বনফুল থেকে দুপুরে স্যান্ডউইচ আনা হয়। সেটা খাবার পর থেকেই আমরা ত্রিশজন শিক্ষক, তিনজন প্রশিক্ষক ও স্টাফদের সকলেই অসুস্থ হয়ে পরি। এরপর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি আছি। আমরা তদন্ত ও বিচার দাবী করি।”
এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নূর-ই আলম সোহাগ বলেন, বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়টি শুনতে পেরে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেছি কিন্তু কোন প্রমাণ না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, বনফুলের স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।