নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জে বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে শংকর শীল (৬৮) নামে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিকেলে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।
রোববার(৫ নভেম্বর) সদর পৌরসভার নবগ্রাম শীল পাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত শংকর শীল নবগ্রাম শীল পাড়া এলাকার বিশ্ব নাথ শীলের ছেলে।
নিহত শংকর শীলের ভাই উত্তম শীল জানান, তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সত্য শীল ,কার্তিক শীল , গোপাল শীল ও গণেশ শীলদের সাথে পূর্ব থেকে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিলো। মাঝে মধ্যেই এনিয়ে ঝগড়া হতো। সে জন্য আজ ছিলো সীমান পরিমাপের দিন। কিন্তু জমি পরিমাপের আমিন না আসায় কার্তিক ও তার ভাইয়েরা এবং তাদের ছেলেরা তার ভাই শংকরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এসময় তার ভাই সাবেক কাউন্সিলর ছানোয়ার রহমানকে ডেকে নিয়ে আসেন। ছানোয়ার রহমান ঘটনাস্থলে আসার পর কার্তিকের ছেলে কৃষ্ণ তার ভাইয়ের ছেলে রতনকে মারধর করে। এসময় তার ভাই শংকর এগিয়ে গেলে সত্য শীলের ছেলে মিঠুন তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার ভাই মারা যায়।
এই বিষয়ে মিঠুন শীল বলেন, শংকর শীলকে আমি ধাক্কা দেয়নি। তবে তিনি উত্তেজিত হয়ে মাটিতে পরে যান। পরে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের এলাকার সাবেক কাউন্সিলরসহ উপস্থিত সকলেই দেখেছেন।
সাবেক কাউন্সিলর ছানোয়ার রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বাড়ির সীমান নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় শংকর শীল মাটিতে পড়ে যায় ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। পরে পুলিশ এসে সকাল ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, নিহত শংকর শীলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্তিক শীল, তার ছেলে কৃষ্ণ ও ভাই গনেশ শীলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের ছেলে পংকজ শীল বাদি হয়ে একটি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।