স্টাফ রিপোর্টার: এক সময়ের প্রমত্তা ইছামতি নদী এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে ।
এক সময় এই নদীর ছিল গৌরবময় ইতিহাস। কালের বিবর্তনে সবই হারিয়ে গেছে।
প্রমত্তা এই নদীতে তখন চলত লঞ্চ ও বড় বড় নৌকাসহ নানা নৌযান । জেলেরা ছোট ছোট ডিঙ্গী নৌকা দিয়ে মাছ ধরত । মাছ ধরেই তারা জীবিকা নির্বাহ করত। নদীর দু’তীরের মানুষই তাদের গৃহস্থলীর কাজসহ দৈনন্দিন কাজ করত এই নদীর পানি দিয়েই। এলাকার ব্যাবসায়ীরা বড় নৌকা দিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন মালামাল আনা-নেয়া করতেন । এটিই ছিল মালা-মাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম। নদীর বুকে পাল তুলে চলত ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের নৌকা। নদীর দুই পাড়ে শোভা পেত ঘণ কাশবন ও কাশফুল। নয়নাভিরাম এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হতেন গ্রামের সহজ- সরল গৃহবধু,কিশোর-কিশোরীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নানা বয়সী মানুষ।
বর্ষা মৌসুমে এই নদী দিয়ে প্রচুর পরিমান পানি প্রবাহিত হলেও বা পানি থাকলেও বর্ষার পূর্বে ও পরে তেমন পানি থাকে না। আবার কোথাও কোথাও থাকে শুকনো । আবার কোথাও কোথাও কৃষকরা ফসল ফলায়, কেউবা দেয় বোরো ধানের বীজতলা। দীর্ঘ এই নদীর প্রশস্ততা ধীরে ধীরে কমে এমন পর্যায়ে এসেছে যে বর্ষা মৌসুম ছাড়া দেখে এটাকে কেউ নদী বলবে না, বলবে মরা খাল ।
নদীটি খনন করে এর হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতঃ নদী তীরবর্তী বাসিন্দাসহ এলাকার সকলের কল্যাণে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলায় ইছামতি নদীটি ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুরে বিস্তৃত।