মানিকগঞ্জের তেওতা জমিদার বাড়িটি হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র

মানিকগঞ্জের তেওতা জমিদার বাড়িটি হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতার যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত পরিত্যাক্ত দৃষ্টিনন্দন বিশাল জমিদার বাড়িটি ভ্রনণ পিপাসুদের জন্য হতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র।এখানে সরকারিভাবে অথবা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দিয়ে এ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায়। এতে একদিকে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয় ও ভাবমুর্তি অন্যদিকে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। আর বেহাত হওয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকবে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

এদিকে অযত্ন আর অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে অপরূপ সৌন্দর্য মণ্ডিত কারুকার্য খচিত স্থাপনা। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ভ্রমণ পিপাসুদের চিরচেনা পদচারনা। তৎকালীন জমিদার হেম শংকর রায় চৌধুরী ও জয় শংকর রায় চৌধুরী ৭.৩৮ একর জায়গার উপর কারুকার্য খচিত নক্সা অনুযায়ী বৃহৎ আকার এই বাড়িটি নির্মান করেন। বাড়িটির মূল ফটকের সামনে পাকা রাস্তার সাথেই রয়েছে সান বাঁধানো (ঘাট বাঁধানো) বিশালাকার একটি পুকুর। এই পুকুরের ঘাটলায় বসেই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অনেক কবিতা লিখেছেন। এই জমিদার বাড়ির পূর্বদিকে পাকা রাস্তার সাথেই ছিল বিদ্রোহী কবি পত্নী প্রমীলা দেবীর জন্মদাতা পিতা বসন্ত দাস গুপ্তের বসত বাড়ি।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তৎকালীন জমিদার হেম শংকর রায় চৌধুরী ও জয় শংকর রায় চৌধুরী সপরিবারে ভারত চলে যান। ভারত চলে যাবার পর পরিত্যাক্ত বাড়িটির অনেক আসবাবপত্রসহ দরজা-জানালা চুরি হয়ে যায়। পাশের যমুনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত ৬৭ টি পরিবার বাড়িটি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে বসবাস শুরু করে। বেশ কয়েক বছর পর পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি বাংলাদেশ সরকার নিয়ে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে একটি কক্ষে তেওতা ইউনিয়ন ভুমি অফিস করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার বাড়িটির প্রধান ফটকের পাশের নবরত্ন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপর ন্যাস্ত করেন । ইতিমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নবরত্নের সংর কাজ করেছে।

তেওতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন ছুটির দিনে দূর দুরান্ত থেকে অনেক ভ্রমণ পিপাসু লোক ঘুরতে আসে। এখানে পর্যটন কেন্দ্র হলে লোকজনের পদচারণা আরো বাড়বে৷ এতে এলাকাবাসী নানাভাবে উপকৃত হবে। এখানে পযর্টন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আলী আকবর বলেন পর্যটন কেন্দ্রের জন্য স্থানটি উপযুক্ত। এখানে সরকারি বা ব্যাক্তি মালিকানায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাবস্থা করা হলে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

Scroll to Top