মানিকগঞ্জ শিশু পার্কের বেহাল দশা

নিরঞ্জন কুমার অযত্ন, অবহেলা আর সংস্কারের অভাবে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে মানিকগঞ্জের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা শিশু পার্কটি। এটি জেলা শহরের কেদ্রস্থলে অবস্থিত হলেও ক্রমেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে পার্কের স্থাপনা অন্যদিকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। মাদকসেবী ও বখাটেদের আনা-গোনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে কেউ দেখলে মনে করবে এটি বখাটেদের আড্ডাস্থল। পার্কটির এখন বেহাল দশা।

মানিকগঞ্জ শহরে রফিক চত্ত্বরের দক্ষিণ পাশে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেই এই শিশু পার্কটির অবস্থান। ভৌগলিক কারনে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। শহরে প্রবেশ করতে ও শহর থেকে বের হতে এটির দেখা মিলবেই।

শিশুদের চিত্ত বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা শহরে না থাকায় ঐ স্থানে এই পার্কটি গড়ে উঠে । তখন এটি ভালই চলছিল । পার্কটি দেখভালের দায়িত্ব মানিকগঞ্জ পৌরসভার। তখন শিশুদের চিত্তবিনোদনের অনেক ব্যবস্থাই ছিল এ পার্কে, ছিল বিভিন্ন রাইড। অভিভাবকদের বসার সুব্যাবস্থা থাকায় তারা(অভিভাবকরা) বসে গল্প করত আর শিশুরা খেলাধুলা করত ও বিভিন্ন রাইডে মেতে থাকত ।

সম্প্রতি এডভোকেট উত্তম কুমার সাহা ছুটির দিনে সস্ত্রীক তাদের শিশু পুত্রকে নিয়ে এসেছিলেন এই পার্কে, কিন্তু পার্কের ভিতর প্রবেশ করতেই হতাস এই দম্পতি, ভিতরে আশানুরূপ কিছুই নেই। শিশুদের জন্য যে সমস্ত রাইড আছে তার বেশির ভাগই অকেজো। ভিতরে বসার স্থান নোংরা ও লতা পাতায় ভর্তি। মোট কথা ভিতরে বসার কোন পরিবেশ নেই।

পূজার ছুটিতে বেড়াতে এসে শিশু কন্যার আবদার রাখতে শিবালয় থেকে তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা শিশু পার্কে ঘুরতে এসেছিলেন সংগ্রাম সাহা। তিনি এসেই দেখেন প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে , দেখেই তিনি হতাশ । পরে ছোট একটি গেইট দিয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে পার্কের ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। প্রবেশ করেই তার চোখ কপালে। দেখেন বড় বড় ছেলে-মেয়েরা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে গল্প করছে। আর বখাটে ছেলেরা আড্ডা দিচ্ছেন। মনে হয় স্থানটি পরিত্যাক্ত,লতা-পাতায় ঘেরা, জরাজীর্ণ অবস্থা। দেখে মনে হয়না এটি শিশু পার্ক।

Scroll to Top