মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: জুতা সেলাই করে সংসার চালায় মানিকগঞ্জের বিএনপির নেতা মিঠু রবি দাস।
মিঠু রবি দাসের বাবা দুলাল রবি দাস মারা গেছেন দশ বছর আগে। তাঁর ভিটেমাটিসহ নেই কোনো সহায়-সম্বল । থাকেন পৌরসভাধীন বেউথা এলাকায় সরকারি লীজের জায়গায়। বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতা আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহন করেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নাশকতাসহ ৫টি বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা হয়েছে, যা এখনো চলমান। সংসারে রয়েছে বিয়ের উপযুক্ত এক মেয়ে। মেয়ের পড়াশোনা,সংসার চালানো এবং মামলার খরচ চালাতেই ফুটপাতে টং দোকানে মানুষের জুতা সেলাইয়ের কাজ করছেন মিঠু রবি দাস।
বুধবার জেলা সদরে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজের সামনে টং দোকানে বসে জুতা সেলাই করতে দেখা যায় মিঠু রবি দাসকে। এ সময় তার টং ঘরে দেখা যায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, প্রয়াত বিএনপির মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি দিয়ে ঘেরা। প্রতি ছবিতে দেখা গেছে মিঠু রবি দাসের উপস্থিতি।
এ প্রসংগে কথা হলে মিঠু রবি দাস প্রতিবেদককে বলেন, তিনি সাবেক মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদ পারভেজের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। পর্যায়ক্রমে ছিলেন সাবেক পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সমবিষয়ক সম্পাদক, নগর বিএনপির সদস্য, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য, নগর শ্রমিক দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যাণ পরিষদের প্রচার সম্পাদক । বর্তমানে তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য ফ্রন্টের জেলা কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক।
মিঠু রবি দাস ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, তিনি বিএনপির একজন সক্রিয় নেতা হলেও পাননি তার যথার্থ মর্যাদা। তেমন খোজঁ খবর নেননি জেলার কিংবা কেন্দ্রীয় কোন শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। মিঠু রবি দাস মনে করেন তিনি অবশ্যই একদিন বিএনপি দলের মূল্যায়ন পাবেন। সেই সাথে যতদিন বাচঁবেন ততদিন দলকে ভালবেসে বিএনপি রাজনীতি করে যাবেন।
মঠিু রবি দাস প্রসঙ্গে একাধিক বিএনপি নেতারা বলেন, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য সব বাধা তুচ্ছ করতে মনোবলই যথেষ্ট তার জীবন্ত প্রমাণ মিঠু রবি দাস। তবে এখন হয়তো আশানুরুপ মুল্যায়িত হয়নি। সামনে অবশ্যই বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা তাকে মুল্যায়িত করবে । এবং যাতে তাকে আর মানুষের জুতা সেলাইয়ের কাজ না করতে হয়।