নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জে ট্রাক চালক ও হেলপারকে হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ (১ম) আদালত । সোমবার (০৯ আগষ্ট) বেলা আড়াইটায় মানিকগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন একজন যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ২০১ ধারার অপরাধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার ৩ বছর সশ্রম কারাদান্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ের আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন,মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু ও ইয়াকুব আলী শেখ এবং গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার। যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাহপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ও মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী।
আদালত ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ৬ আগস্ট সাতক্ষিরা জেলার ভোমরাস্থল বন্দর থেকে পাথার নিয়ে ট্রাক চালাক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। এর পর ট্রাক চালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে হত্যা করে তাদের লাশ রাতেই মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখৈড়া ব্রীজের কাছে ফেলে রাখে। পরে দিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন ও ট্রাক চালক জয়নালের ভাই হারুনার রশিদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।
আলোচিত এই হত্যার মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আব্দুস সালাম। মামলাটি তদন্ত শেষে ৯ জনকে আসামি করে গত ২০১১ সালে ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাকত হয়ে যায়।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মথুর নাথ সরকার ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।