সংসদীয় আসন তিনটি থেকে বাড়িয়ে চারটি করার দাবি
মন্জুর রহমান,মানিকগঞ্জ: ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে অথবা চলতি বছরের ডিসেম্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছেস্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে ১৯৮৪ সালের প্রহেলা মার্চ মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হওয়ার পর মানিকগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করলেও বিজয়ী হয়েছে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, অথবা আওয়ামী লীগ । ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জনসংখ্যা ভিক্তিক আসন পুনর্বিন্যাস করলে মানিকগঞ্জের সংসদীয় আসনের সংখ্যা চারটি থেকে কমে তিনটিতে রুপান্তরিত হয়।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের ( তৎকালীন মহকুমা ) ঢাকা-১ (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে আওয়ামীলীগের আবু মো. সায়েদুর রহমান,ঢাকা-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে আওয়ামীলীগের মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া, ঢাকা-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে আওয়ামীলীগের মফিজুল ইসলাম খান কামাল ও ঢাকা-৪ ( সিঙ্গাইর ও মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন, পুটাইল, হাটিপাড়া ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামীলীগের ডা. মীর আবুল খায়ের ঘটু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সে নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে বিএনপির খন্দকার দেলোয়ার হোসেন,ঢাকা-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে বিএনপির ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী, ঢাকা-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে বিএনপির নিজাম উদ্দিন খান ও ঢাকা ৪ (সিঙ্গাইর ও মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন, পুটাইল, হাটিপাড়া ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির এ্যাডভোকেট আনোয়ার উদ্দিন শিকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ সালের প্রহেলা মার্চ মানিকগঞ্জ মহকুমা জেলায় উন্নীত হয় । ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। একই সালের ৭ মে তৃতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে জাতীয় পার্টির সিদ্দিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে জাতীয় পার্টির ডা.লুৎফর রহমান, মানিকগঞ্জ৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে আব্দুল মালেক ও মানিকগঞ্জ৪ (সিঙ্গাইর ও মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন,পুটাইল,হাটিপাড়া ও সদরের একাংশ) আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম ছারোয়ার মিলন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,তখন আওয়ামী লীগ জামায়াত ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে ওই নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপি নির্বাচন র্বজন করেন।
এরপর ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মানিকগঞ্জ-১ আসন (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে জাতীয় পার্টির সিদ্দিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে জাতীয় পার্টির প্রিন্সিপাল আব্দুল রউফ খান, মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির আব্দুল মালেক ও মানিকগঞ্জ-৪ (সিঙ্গাইর ও মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন,পুটাইল,হাটিপাড়া ও সদরের একাংশ) আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম ছারোয়ার মিলন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১০৯০ সালে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এরশাদের জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচুত হয়ে চলে যাবার পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে বিএনপির খন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে বিএনপির হারুনার রশিদ খান মুন্নু,মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে বিএনপির নিজাম উদ্দিন খান ও মানিকগঞ্জ-৪ (সিঙ্গাইর ও মানিকগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিয়ন,পুটাইল,হাটিপাড়া ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির সামসুল ইসলাম খান (নয়ামিয়া) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পুর্নরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়।এ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে বিএনপির খন্দকার দেলোয়ার হোসেন,মানিকগঞ্জ-২ (হরিরামপুর-শিবালয়) আসনে বিএনপির হারুনার রশিদ খান মুন্নু,মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ