নিজস্ব প্রতিবেদক:মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসষ্ট্যান্ড পৌর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সদর থানার পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া এলাকার শহীদ তিতুমীর স্কুলের পাশে অন্যান্য আসামিদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন। ওই বৈঠকে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়। এমন অভিযোগে পরের দিন (১৬ জুলাই) বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এর পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পৌর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, এ মামলায় চারজন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছিল। সেই সময়ের এজাহারে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক যুবদল নেতা মোস্তাক হোসেনের নাম উল্লেখ ছিল না। আজ শুক্রবার ঢাকায় গণ সমাবেশকে বিঘ্নিত করতে এবং মানিকগঞ্জ জেলার যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা সহ মনোবল দুর্বল করতে গায়েবী মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দিপুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, এজাহারে নাম না থাকলেও পরবর্তীতে তদন্তে মোস্তাক হোসেন দিপুর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ কারনেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ দুপুরে আদালতে আসামিকে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি।