স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় ১১ বছর আগে হরতাল পালনকালে হেফাজতে ইসলামের চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় মানিকগঞ্জের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগের ১০৯ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের নিহত নাজিম উদ্দিনের বাবা মজনু মোল্লা শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সিংগাইর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১০৯ জন ছাড়াও অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সায়েদুল ইসলাম, পৌর সভার সাবেক দুই মেয়র মীর মো. শাহজাহান, আবু নাঈম মো. বাশার, থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক খান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, পৌর আওয়ামী গের সভাপতি আব্দুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বেপারী, বায়রা ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাটু, তালেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনসহ ১০৯ জন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়ে ইসলাম ও সমমনা দলসমূহের পূর্বঘোষিত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনকালে গোবিন্দল নতুন বাজার মোড়ে বিগত স্বৈরশাসক সরকার দলীয় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায়। বাদী মজনু মোল্লার একমাত্র ছেলে নাজিম উদ্দিন এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এদিকে এ ঘটনায় গত ৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেছিলেন নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই সহিদুল ইসলাম। ওই মামলায় ৫২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, ৩৮ পুলিশ সদস্য ছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়।