সোহেল রানা: রাজধানী ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা হলেও হরিরামপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াতে লক্কর ঝক্কর বাসই একমাত্র ভরসা। উপজেলা চত্বর থেকে শুকতারা সার্ভিস নামে একটি মাত্র বাস সার্ভিস থাকায় বাধ্য হয়ে তাতেই চলতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অল্প সংখ্যক বাস নিয়ে একমাত্র পরিবহন শুকতারা সার্ভিসটি ঢাকা থেকে হরিরামপুর রুটে যাতায়াত করছে। যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা, গাদাগাদি করে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে নিয়ে আসা এর নিত্যদিনের চিত্র। ঢাকা থেকে হরিরামপুর পর্যন্ত প্রায় ১০-১২টি স্থানে বিরতির কারণে একদিকে যেমন সময় অপচয় হয়, তেমনি বেড়ে চলছে ভোগান্তি। তবে ইদানীং, সময় বেঁধে দিয়ে বাসটি হরিরামপুর থেকে ঢাকার গাবতলি চলাচল শুরু করেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, ঢাকা থেকে হরিরামপুরে একসময় ১৮০টি বাস গাড়ি চলাচল করলেও বর্তমানে ৩৫টি গাড়ি চলাচল করে। যার মধ্যে ১৯টি ডিজেল চালিত ও ১৬টি সিএনজি গ্যাস চালিত।
উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন জানান, হরিরামপুর উপজেলা থেকে ঢাকা যাতায়াত করা মানে বাড়তি ক্লান্তি ভাব চলে আসা। শুকতারা সার্ভিসের বাস গুলোর সিটগুলো বসার অযোগ্য। একজন বসাই কষ্টকর। ভিতরে যিনি বসবেন তার পা মেলে বসতে পারেননা। আর পুরাতন ও নিম্ন মানের লক্কর ঝক্কর বাসও আছে। এছাড়া দূরত্বের তুলনায় ভাড়াও অনেকটা বেশি।
যাত্রাপুর গ্রামের সুমন মিয়া জানান, বাস মালিকরা কিছু বাসকে সিএনজি ও আর কিছু বাসকে পেট্রোলচালিত করায় ভাড়ার ক্ষেত্রেও কম বেশি হয়। অনেক সময় সিএনজি চালিত বাসও ডিজেলের ভাড়া নেয়। কেউ কিছু বললে যাত্রীদের সঙ্গে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয় বাস চালক ও কন্ট্রাক্টরদের সঙ্গে।
এ বিষয়ে হরিরামপুর শুকতারা সার্ভিস বাস মালিক সমিতির অন্যতম সদস্য মোঃ সাঈদ জানান, হরিরামপুর থেকে ঢাকা ডিজেল চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩০ টাকা ও গ্যাস চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ১১০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে । সম্প্রতি শুকতারা সার্ভিস লিঃ এর পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোনো বাস পৌঁছাতে না পারলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সে বাসকে কোনো যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট বিরতির স্থান ছাড়া কোন যাত্রী নেয়া হয় না। তবে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে হেলপার ও বাস চালকদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। কিছু পুরোনা বাস এখন চলাচল করলেও আগের তুলনায় শুকতারা সার্ভিস লিঃ এ বর্তমানে কিছু ভালো মানের বাসও যুক্ত হয়েছে।