৪ বছর পর আবারও আয়করমুক্ত সুবিধা পেলো গ্রামীণ ব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার: গ্রামীণ ব্যাংক, যা নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, চার বছর পর আবারও আয়করমুক্ত সুবিধা লাভ করেছে। ক্ষুদ্র ঋণ উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি বিগত সময়ে আয়করমুক্ত ছিল, তবে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। এখন সরকার নতুন করে গ্রামীণ ব্যাংকের সব আয়কে করমুক্ত ঘোষণা করেছে। এই সুবিধা ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর আওতায় গ্রামীণ ব্যাংকের অর্জিত সব আয় থেকে আয়কর মুক্ত থাকবে, তবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৯ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এর আগে, ক্ষুদ্র ঋণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০০০ ও ২০০১ সালে ট্রাস্ট ও লিগ্যাল অবলিগেশন দ্বারা পরিচালিত ক্ষুদ্র ঋণের আয়কে মোট আয় নির্ধারণে অন্তর্ভুক্তি করা থেকে শর্তহীনভাবে অব্যাহতি প্রদান করেছিল। পরবর্তীতে ২০০২ সালের অর্থ আইনের মাধ্যমে ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর সেকশন ৪৪(১) এ একটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়, যার ফলে রেজিস্ট্রিকৃত এনজিওগুলো ক্ষুদ্র ঋণের আয়ের ওপর আয়কর অব্যাহতি পেতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে আয়কর অব্যাহতি প্রদান করেছে। কিন্তু ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গ্রামীণ ব্যাংক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। জানা গেছে, ওই সময় ব্যাংকটি সরকারের কাছে কর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে এবার নতুন করে ৫ বছর ৩ মাসের জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা পেল গ্রামীণ ব্যাংক, যা ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।

Scroll to Top