স্টাফ রিপোর্টার: উজান থেকে আসা ঢলে বেড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা ও পাগলা নদীর পানি। এতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৮ হাজার ৮০০ পরিবারের প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আকস্মিক বন্যায় উপজেলার উজিরপুর, পাঁকা, দুলর্ভপুর, ঘোড়াপাখিয়া, ছত্রাজিতপুর, মনাকষা ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৬ ইউনিয়নের ১ হাজার ২৯২ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মাসকালাই, রোপা আউশ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, চিনা, আখসহ সবজি নষ্ট হতে বসেছে।
পাঁকা ইউনিয়নের রফিক, রবিউল, বাইরুলসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে জমিতে মাষকলাই বীজ বোনা হয়েছে। হঠাৎ পদ্মা নদীতে পানি বাড়ায় সব ডুবে গেছে। এছাড়া মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া, তারাপুর,ঠুঠাপাড়া, হাঙ্গামী ও শিংনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করায় মাসকালাই চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুনাইন বিন জানান বলেন, পদ্মার পানি বাড়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পানি ঢুকেছে। এতে উপজেলার ১২৯২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষদিগ্রস্ত হয়েছে মাসকালাই চাষিরা।
এদিকে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ৮ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দূর্লভপুর ইউনিয়নে। এ এলাকায় ৭ হাজার ৪১৭টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এছাড়া পাঁকা ইউনিয়নে ৭৫০টি, উজিরপুর ইউনিয়নে ১২৮টি, মনাকষা ইউনিয়নে ৩৪৫টি ও ঘোড়াপাকিয়া ইউনিয়নে ১৫০টি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। আমার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের খোঁজখবর নিচ্ছি এবং তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছি। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে।