স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ডা. অভ্র দাস ভৌমিকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দরা।
আজ সকালে (০৪ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউটের ভেতর শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ একটি বিক্ষোভ মিছিল করে ইনস্টিটিউটের সামনে এসে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ডা. অভ্র দাস ভৌমিকের পদত্যাগের দাবী তোলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দরা।
মানববন্ধনে বক্তারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেন, “সদ্য পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রশাসন, ‘কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো এবং বিগত ১৬ বছর এই প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক অনিয়ম সহ ভয়ানক দুর্নীতি ও বৈষম্য তৈরি করে। বিগত ৫-আগস্ট সরকার প্রধান পালিয়ে যাওয়ার পর ডা: মোহাম্মদ সফিকুল কবির-কে উপ-পরিচালক হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করে বিগত বছর গুলোতে ঘটে যাওয়া তাদের নির্লজ্জকর দুর্নীতিসমুহ তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়, কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় মাত্র ১০ দিনের মাঝেই তারা ফ্যসিবাদের চক্র ব্যবহার করে ফ্যসিবাদের দোসর, বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা যিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন পরিচালক ছিলেন, তার সহায়তায় ডা: মোহাম্মদ সফিকুল কবির-কে গত ২রা সেপ্টেম্বর OSD করান। উল্লেখ্য যে, ডা: মোহাম্মদ সফিকুল কবির, একাধিক বিদেশী মেডিকেল ইন্সটিটিউটের ভিজিটিং প্রফেসর ও কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট এবং বর্তমান পরিচালক ডা: অভ্র দাস ভৌমিক ঢাকা মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগে উনার ‘সহকারী রেজিস্ট্রার’ ছিলেন। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে তিনি এখনো সহযোগী অধ্যাপক হিসাবেই থেকে গেছেন, যেখানে ডা: অভ্র দাস ভৌমিকসহ ৫ জন চিকিৎসক অনেক জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান, যা জ্যেষ্ঠতা নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। উল্লেখ্য ডা: মোহাম্মদ সফিকুল কবির ‘স্যার সলিমুল্লাহ মোডিকেল কলেজ’-এর ‘কোটা সংস্কার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর মূখ্য সমন্বয়ক এবং কোটা বিরোধী আন্দোলনে ‘বসুন্ধরা-বারিধারা’ এলাকা (NSU, UIU, AIUB, IUB, BRAC)-র যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। সুতরাং, আমরা অবিলম্বে পরিচালক পদ থেকে ডা: অভ্র দাস ভৌমিকের পদত্যাগ এবং ডা: মোহাম্মদ সফিকুল কবিরকে চলতি দায়িত্বে (CC) দ্রুত অধ্যাপক করে অবিলম্বে পরিচালক পদে পদায়নের দাবী জানাচ্ছি এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচারসহ সকল বৈষম্যের আশু অবসান প্রত্যাশা করছি এবং এ প্রতিষ্ঠানের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আহবান করছি।”