বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ভোট বিহীন এই দ্বাসত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার বিনা অপরাধে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে।
তারা বিনা চিকিৎসায় তাকে হত্যা করতে চায়। তারা জানে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে এই জালিম সরকার একতরফা ভাবে লুটপাট, হত্যা-গুম, খুন, দুর্নীতি, অর্থ পাচার করতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া ডাক দিলে এ দেশের মানুষ রাস্তাায় নেমে এই চোর সরকারের অপকর্মের প্রতিবাদ করবে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়াতাকে ভয় পেয়ে তাকে বিনা অপরাধে বন্দি করে রেখেছে।
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার, গনতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না। তাই জীবন দিলে হলেও আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো বলেন তিনি।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে খন্দকার ল কলেজ মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতার সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস, এ জিন্নাহ কবিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সায়্যেদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাভোকেট আজাদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম নূরতাজ আলম বাহার, জেলা বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক আহমেদ দিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ জিন্নাহ খান জিন্না, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রেজাউর রহমান সজিব প্রমূখ।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করেছি আর এখন সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে যুদ্ধ করতে হবে। এ দেশকে স্বাধীন করতে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত দিতে হয়েছে। এখন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যে ৬০ লক্ষ দেশ প্রেমিককে শহীদ হতে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে ৬০ লক্ষ মানুষ শহীদ হবো। দেশকে দাসত্ববাদী-গোলামী সেবাদাস তাবেদারদের হাত হতে মুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের জনগন কোন বিদেশী প্রভূত্ব মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনার যারা মুক্তিযুদ্ধে পরের প্রজন্ম বা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছোট ছিলেন তারা যুদ্ধ করতে পারেন নাই বলে আফসোস করেন। তাদের এবারে একটা সুযোগ এসেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিতে না পারলেও স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে অংশ নেয়ার।
তিনি বলেন, বিদেশের ইশারায় চলা এ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার প্রভূদের স্বার্থরক্ষা তৎপর। দেশে কোন স্বার্থই তাদের কাছে কোন মূল্য নেই। লুটপাট করে সব অর্থ পাচার করে কোষাগার খালি হয়ে গেছে। তাই ধান্ধাবাজির সার্বজনিন পেনশন ক্রীম চালু করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আরো সম্মান ও সুযোগ দেয়া হোক কিন্তু মেধাশূন্যদের কোঠায় চাকুরি দেয়া হলে কি প্রশাসন চলবে? জাতি মেধা শূন্য হয়ে যাবে। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর বাকশালী রাষ্ট্র কায়েম করবেন না। তিনি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি দিন নয়তো গণআন্দোলনে আমরা তাকে মুক্ত করবো।
সভাপতির বক্তব্যে আফরোজা খানম রিতা বলেন, রাষ্ট্রের মূল চারটি ভিত্তি এই সরকার ধংস্ব করে দিয়েছে। গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। জীবন দিয়ে হলেও আমার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। জেল-জুলম,হত্যা-গুম করে আর ভয় দেখিয়ে এবার দেশপ্রেমিক জনতাকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলে জানান তিনি।