নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে বদলি করা হয়েছে।তার পরবর্তী কর্মস্থল দিনাজপুর।তবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া
হয়নি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের বিরুদ্ধে।এঘটনাকে ‘শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত বদলির আদেশে দেখা যায়, শিবালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন সুজনকে দিনাজপুর অঞ্চলের অধীন অতিরিক্ত পরিচালক এর কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। ৩ এপ্রিলের মধ্যে তার দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন অন্যথায় ৪ এপ্রিল থেকে তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত(স্ট্যান্ডরিলিজ) হিসাবে গণ্য হবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল সকালে শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান পোকায় ক্ষতিগ্রস্ত তার খেতের এক গুচ্ছ ধান নিয়ে পরামর্শের জন্য কৃষি অফিসে যান।এসময় তিনি ধানের ছবি তোলার কথা বলেন এবং জেলার উপ-পরিচালকের ফোন নম্বর চান।একই সাথে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না বলে অভিযোগ তুলেন কৃষক ফজলুর।
শিবালয় উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষক এবং সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এ ঘটনার দায় দু’জনেরই।অথচ কর্তৃপক্ষ শুধু উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে বদলি করলেন। বহাল তবিয়তে থাকলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার।এটা আসলে শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রবিআহ নূর আহমেদ জানান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সুজনকে শাস্তি সরুপ দিনাজপুরে বদলি করা হয়েছে। বদলির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সিদ্ধান্ত।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।ভবিষৎতে বিষয়গুলো দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল শিবালয় উপজেলার উথলী ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের কৃষক ফজুলুর রহমান পোকায় নস্ট হওয়া এক গুচ্ছ বোরোধান নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যান। এসময় তিনি ধানের ছবি তোলার কথা বলেন এবং জেলার উপ-পরিচালকের ফোন নম্বর চান। একই সাথে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে যান না বলে অভিযোগ তুলেন কৃষক ফজলুর।
এতে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন সুজন।তার সাথে খারাপ আচরণ করে বলেন ‘ আমি কি আপনার কামলা দেই। আপনি কি দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে
গেছেন। আপনি বললেই মাঠে যেতে হবে। যা পারেন করেন গা। আপনি বেরিয়ে যান। যদি বয়স্ক লোক না হতেন তাহলে আপনাকে দেখে দিতাম। এক পর্যায়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে ওই কৃষককে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদারের কাছে যান।এসময় সাংবাদিকদের সামনেই কৃষকের সাথে খারাপ আচরণ করেন।সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া তরফদার।এঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।