নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জে শীত কালীন সব্জী চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবোহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বাজারে দাম ভাল থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ঝুঁকছে শীত কালীন সব্জী চাষে। এবার জেলায় প্রচুর পরিমানে শীত কালীন সব্জী চাষের আবাদ হচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে জেলায় এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে শীতের আগাম সব্জীতে এখন বাজার সয়লাব। ফলনও হয়েছে ভাল। আবোহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দাম ভাল থাকায় খুশি কৃষকরা।
মানিকগঞ্জের ৭ টি উপজেলায়ই শীতের সব্জী আবাদ হয়। জেলার সকল উপজেলায় এ সব্জীর আবাদ হলেও সাটুরিয়া, সিংগাইর ও শিবালয় উপজেলায় এর আবাদ বেশী। সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ও গানা ইউনিয়নে, সিগাইর উপজেলার জয়মণ্টপ, শায়েস্তা ও বায়রা ইউনিয়নে এবং শিবালয় উপজেলার বেলতা, রাধাকান্ত পুর, কৃষ্ণপুর, বাসাইল, নয়াবাড়ী, নালী, রূপসা, চর শিবালয়, আলোকদিয়া এলাকায় সব্জীর আবাদ বেশী।
মানিকগঞ্জে শীতের সব্জী ফুলকপি, বাঁধাকপি,লাউ,গাজর,মূলা,টমেটো,শিম,বেগুন, করলা,বরবটী প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়। এগুলো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে রপ্তানী হয়।
সাটুরিয়া ও সিংগাইর থেকে প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি এসব সব্জী যায় রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে।
এছাড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব শীত কালীন সব্জী শিবালয় থেকেও প্রতিদিন যায় রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে।
শিবালয়ের সব্জী চাষী রতন বলেন তিনি এবার ৬০ শতক জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রোপন করবেন। তিনি ইতিমধ্যে ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা। এ ফুলকপি উৎপাদন ও বাজারজাত করতে তার আনুমানিক আরো খরচ হবে ১০/১২ হাজার টাকা। আর ৩৩ শতাংশ জমিতে তিনি আবাদ করবেন বাঁধাকপি। এতে তার আনুমানিক খরচ হবে ২৫ হাজার টাকা। আবোহাওয়া এরূপ অনুকূলে থাকলে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি। তিনি গত বছরও ৫১ শতাংশ জমিতে সব্জী উৎপাদন করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। এবারও তিনি লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।
সাটুরিয়ার সব্জী চাষী আইয়ুব আলী জানান তিনি এবারও ৪৯ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও ২৭ শতাংশ জমিতে বেগুন আবাদ করবেন। ইতিমধ্যে তিনি ৪৯ শতক জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছেন৷ এতে তিনি এ পর্যন্ত খরচ করেছেন ২২ হাজার টাকা। আবাদ সম্পন্ন করতে এবং উৎপাদিত সব্জী বাজারজাাত করতে তার আরো খরচ হবে ১৫/২০ হাজার টাকা। এছাড়া ২৭ শতাংশ জমিতে বেগুন আবাদ করতে তার খরচ হবে আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা আবোহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি। সেই সময় বাজার ভাল থাকলে তিনি লাভবান হবেন বলে মনে করছেন।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ জানান,জেলায় এবার ৮ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে শীত কালীন সব্জী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবোহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও বাজারে সব্জীর দাম ভাল থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবার জেলায় বেশী পরিমান জমিতে শীত কালীন সব্জী আবাদ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।