স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বয়স কেবল একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়, এমনটিই বলেন অনেকে। আপনি যদি একে অপরকে সত্যিই ভালোবাসেন তবে এটি কোন ব্যাপার না। তবে সামাজিক নিয়ম অনুসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের নির্দিষ্ট একটি ব্যবধান আশা করেন সবাই।

সেক্ষেত্রে স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বয়স বেশি হলে নাকি তাদের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো হয়। আবার সমবয়সী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, এমনটিও দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

তাহলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঠিক কতটা বয়সের পার্থক্য হওয়া উচিত, তা কি কারও জানা আছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে সমীক্ষা কী বলছে-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় বিজ্ঞানীরা গাণিতিকভাবে গণনা করে দম্পতিদের মধ্যে একটি নিখুঁত বয়সের পার্থক্য বের করেছেন। যা একটি সফল দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৩ হাজার মানুষ এই গবেষণায় অংশ নেন। তাদের প্রত্যেকেরই অন্তত একবার বিয়ে হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা তাদের মধ্যে একটি মজার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন- ‘বয়সের পার্থক্য যত বেশি হবে, বিচ্ছেদের ঝুঁকি তত বেশি।’

যদিও এ বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত হতে নাও পারেন। তবে গবেষকরা বিশদ পরিসংখ্যান রেছেন এ বিষয়ে। তাদের ফলাফল অনুযায়ী, ৫ বছরের বেশি বয়সের পার্থক্য থাকা দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি ১৮ শতাংশ।

অন্যদিকে দম্পতিদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে, বিচ্ছেদের ঝুঁকিও নাটকীয়ভাবে বাড়ে অর্থাৎ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। আর ২০ বা তার বেশি বয়সের পার্থক্য থাকা দম্পতিদের জন্য, ভবিষ্যদ্বাণী সত্যিই নেতিবাচক, কারণ তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি হতে পারে ৯৫ শতাংশ বেশি।

গবেষকরা শুধু বয়সের মাপকাঠি নয়, সন্তান ধারণ, বিবাহের সময়কাল, বিবাহের খরচ, শিক্ষা ও অন্যান্য অনেক বিষযের দিকেও নজর দিয়েছেন। আর যদি দুজন অংশীদাদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় বিশাল পার্থক্য থাকে, তাহলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি থাকে ৪৩ শতাংশ।

এই গবেষণার মাধ্যেমে বিজ্ঞানীরা নিখুঁত বয়সের পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। তারা দেখেছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য সর্বোচ্চ ১-৩ বছর হলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা আছে। আর এমন দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি মাত্রা ৩ শতাংশ কিংবা এরও বেশি।

গবেষণা বলছে, একটি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুজনের মধ্যে অনুভূতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সান্ত্বনাবোধ থাকা। আর যদি আপনার সম্পর্কের এই উপাদানগুলো থাকে, তাহলে ওই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে।

Scroll to Top