নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এবং হোটেল-রেস্তোরায় বেশির ভাগ খাবারে ব্যাবহৃত হচ্ছে ধনে পাতা। গত বছর বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় জেলার সাতটি উপজেলায় এবার অনেক ধনের চাষ হয়েছে । এবারও ধনিয়া পাতার দাম ভাল থাকায় খুশী চাষীরা। স্থানীয় চাহিদা পুরন করে এই পাতা যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
জেলার সকল উপজেলায় এর আবাদ হলেও সদর,সিংগাইর,শিবালয় ও সাটুরিয়া উপজেলায় এর আবাদ বেশী।
অন্যান্য শাক-সবজির তুলনায় বাজারে ধনে পাতার ভাল দাম ও চাহিদা থাকায় কৃষকদের এ পাতা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। তাছাড়া অল্প সময়ে বেশী লাভ হয় এই ধনে চাষে । তাই জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ।
শিবালয়ের চাষী বিল্লাল হোসেন জানান তিনি এবার এক বিঘা জমিতে ধনে আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি এই পাতা বিক্রয় করে ত্রিশ হাজার টাকা ঘরে তুলেছেন ,তিনি আরো পঁচিশ/ত্রিশ হাজার টাকার ধনে পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন । গত বছর তিনি ২১ শতাংশ জমিতে ধনে চাষ করেছিলেন । আর এ থেকে তিনি ধনে পাতা বিক্রি করেছিলেন ত্রিশ হাজার টাকা ।
পাঁচ বছর যাবৎ ধনে চাষ করছেন সিংগাইরের কৃষক আবেদ আলী । গত বছরও তিনি এক বিঘা জমিতে ধনেসহ চাষ করেছিলেন বিভিন্ন শাক-সবজি। ধনে চাষ অন্যান্য শাক-সবজির চেয়ে বেশী লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য সবজির আবাদ কমিয়ে এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে ধনে আবাদ করেছেন । আবোহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে ভাল । এবার তিনি এক লক্ষ টাকার বেশী ধনে পাতা বিক্রী করতে পারবেন বলে মনে করছেন ।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ জানান,ধনে চাষ লাভজনক হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে গিয়েছে । জেলায় এবার ৫শ ৫০ হেক্টয় জমিতে ধনে আবাদ হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভাল । আর বাজারে এই পাতার দাম ভাল থাকায় ও চাহিদা থাকায় খুশী চাষীরা।