স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) আয়োজিত কনসার্টে গান শোনার জন্য তারা নিজেদের সমন্বয়ক এবং সাধারণ ছাত্র পরিচয় দেন। কিন্তু চমেকের নিজস্ব কনসার্টে বাইরের কেউ ঢুকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিলে তারা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু করেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চমেক শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনের ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও চমেক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালায় ৫০/৬০ জনের এই দল।
জানা যায়, সমন্বয়ক ও সাধারণ ছাত্র পরিচয়দানকারী তরুণেরা চমেকের ফটকে ভাঙচুর চালান এবং পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এক পর্যায়ে সড়কের এক পাশ অবরোধ করে রাখেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার দ্বিতীয় দিনে ছিল কনসার্টের আয়োজন। এই কনসার্টে চমেকের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার ছিল। তাদের জন্য বিশেষ প্রবেশ কার্ডও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ৭টার দিকে একদল তরুণ এসে মিলনায়তনে প্রবেশ করতে চাইলে বিপত্তি বাধে। ঢুকতে বাধা পেয়ে চমেকের মূল ফটকের সামনে তরুণেরা জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘কনসার্ট দেখতে দিতে হবে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
এমন পরিস্থিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে যান পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান যান।
তিনি বলেন, ‘একদল তরুণ সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কনসার্টে ঢুকতে চেয়েছেন। বাধা দিলে তারা সড়কে এসে স্লোগান দেন। পুলিশ ও চমেক ছাত্রদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ফটক ভেঙে ঢুকতে চাইলে পুলিশ ও চমেক শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেয়। পরে তারা পালিয়ে যায়।’
ওসি সোলায়মান আরও বলেন, ‘এভয়ড রাফা নামে ব্যান্ডটি তাদের ফেসবুক পেজে তিন দিন আগে ঘোষণা দিয়েছে, চমেকে কনসার্টে সবার সঙ্গে দেখা হবে। এ কারণে তরুণরা উন্মুক্ত কনসার্ট ভেবে চলে আসেন বলে মনে হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। সেখানে কারা গিয়েছিল তাও আমার জানা নেই।’